আজওয়াহ হজ্ব ট্রাভেলস এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হাজী সার্ভিস.কম। যার মাধ্যমে হজ্ব উমরাহ গমণ ইচ্ছুক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে যাবতীয় সহযোগীতা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
হজ্ব-উমরাহ করতে ইচ্ছুক বক্তির প্রয়োজনীয় সকল সার্ভিস আমাদের মাধ্যমে নিতে পারবেন।
আমাদের কার্যক্রম গুলোর মধ্যে আপনার যা অবশ্যই জানা প্রয়োজন: যদি আপনি গ্রুপে ভ্রমণ করেন
হজ্ব-উমরাহ্ ভিসা সংক্রান্ত তথ্যবলী
*হজ্ব-উমরাহ্ ভিসা প্রদান করার একমাত্র ক্ষমতা সৌদি দুতাবাসের। কোন জটিলতার কারণে কোন ব্যক্তির ভিসা না হলে তার দায়ভার ট্রাভেল এজেন্সি বহন করবে না।
*হজ্ব-উমরার ভিসাগুলো গ্রুপ ভিসা হওয়ার কারণে আমাদের সফরের এয়ার টিকেট, ট্রান্সপোর্ট, হোটেলসহ সৌদি আরবের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ভিসার আবেদন করা হয়। এতে করে উল্লেখিত পাসপোর্টে ব্যক্তিগত জটিলতার কারণে কারো ভিসা না হলে শুধুমাত্র খাবারের টাকা ফেরৎ পাবেন। এছাড়া গ্রুপ টিকেট, হোটেল ও অন্যান্য সার্ভিস এর টাকা অফেরতযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
*আপনি যদি কোন অপরাধ জনিত কারণে সৌদি ফেরত/বহিষ্কৃত যাত্রী হয়ে থাকেন আর এজেন্সির কাছে তা গোপন রাখেন অতপর ভিসা/ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত কোন জটিলতায় পড়েন এর দায়ভার ট্রাভেল এজেন্সি বহণ করবে না এবং কোন প্রকার টাকা-পয়সা ফেরত পাওয়া যাবেনা। এর জন্য এজেন্সিকে কোন প্রকারের দায়ী বা চাপ সৃষ্টি অযৌক্তিক বলে বিবেচিত হবে।
*হজ্ব-উমরাহ ভিসার জন্য আপনার মোবাইল দিয়ে বায়োমেট্রিক/ফ্রিঙ্গার সম্পন্ন করে ফ্লাইটের ৬ দিন পূর্বে আমাদের কাছে স্ক্রেন কপি পাঠিয়ে দিন। বায়োমেট্রিক/ফিঙ্গার জটিলতার কারণে ভিসা না হলে ট্রাভেল এজেন্সি দায়ী থাকবেনা।
এয়ার টিকেট
*আমাদের হজ্ব-উমরাহ কাফেলার এয়ার টিকেট মূলত গ্রুপ টিকেট হিসেবে বুকিং করা হয়। হাজী কর্তৃক টিকেট কনফার্ম করার পর উক্ত গ্রুপ টিকেট আর বাতিল অথবা সময় পরিবর্তন কোন কিছুই করা সম্ভব হবে না। তবে প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় টিকেটের সিডিউল/সময় পরিবর্তন করতে পারে।
*গ্রুপ টিকেট বুকিং করার পর যাত্রী যে কোন কারণে সফর বাতিল করলে সম্পূর্ণ টাকা অফেরৎযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
*প্রত্যেক এয়ারলাইন্সে ফ্লাই করার কমপক্ষে ৪ (চার) ঘন্টা পূর্বে এয়াপোর্টে উপস্থিত হয়ে বুকিং, ইমিগ্রেশন এবং চেকিং এর কাজ সম্পন্ন করে উড়োজাহাজে আরোহণ করতে হবে।
*ব্যক্তিগত অবহেলা/ভুলের কারণে ফ্লাইট মিছ করলে ট্রাভেল এজেন্সি দায়ভার বহন করবে না।
*টিকেটে উল্লেখিত লাগেজ সংখ্যা ও ওজনের বাহিরে অতিরিক্ত মালামাল বহন করা যাবে না। এছাড়া কোন প্রকার অবৈধ মালামাল বহন করা যাবে না। যদি অবৈধ মালামাল সংক্রান্ত কোন জটিলতা সৃষ্টি হয় তাহলে তার দায়ভার ট্রাভেল এজেন্সি বহন করবে না।
হোটেল সংক্রান্ত নিয়মাবলী
*জেনে রাখুন দুপুর ২টায় হোটেল ‘চেক ইন’ এবং ‘চেক আউট’ করা হয়। অতএব এর আগে হোটেলে পৌছলে রিসিভশনে অবস্থান করতে হবে। এ ব্যপারে কোন আপত্তি করার সুযোগ নেই কেননা হোটেলের সাথে টাইম মিলিয়ে ফ্লাইট সিডিউল করা সম্ভব হয় না।
*মক্কা-মদীনায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম থাকার কারণে হোটেল নিয়ে বেশিরভাগ সময় সমস্যা থাকে। যেমনঃ হোটেল অভার বুকিং থাকে, চাহিদা মাফিক রুম এবং বেড থাকেনা। হোটেলে অবস্থানরত লোকজনের ফ্লাইট সংক্রান্ত জটিলতা/অসুস্থতা ইত্যাদি কারণে চেক আউট হতে দেরি হয় এবং ঐ সমস্ত রুমের লোকজনের নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় থাকা লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দৈর্যধারণ করে অপেক্ষা করতে হবে এবং মেনে নিতে হবে। প্রয়োজন বোধে ১দিন/২দিন পাশের কোনো হোটেলেও থাকা লাগতে পারে।
*মক্ক-মদীনার কোন হোটেল রুমে খাওয়ার পানি থাকেনা। নিজ দায়িত্বে পানি সংগ্রহ করতে হবে। বাথ রুমে মগ-বালতি, জুতা-সেন্ডেলসহ কাপড় শুখানোর কোন ব্যবস্থা থাকেনা। প্রতি ৩ দিন পর পর রুম ক্লিন ও বেড কাভার পাল্টানো হয়। রুমে লোক না থাকলে পাল্টাতে পারবেনা।
*হোটেল রুমে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত লাইট, এসিসহ, বাথরুমের যেকোন সমস্যা, টিসু, সাবান, সেম্পু প্রয়োজন হলে সাথে সাথে রিসিভশন থেকে তার সমাধান করতে হবে। এখানে গ্রুপ লিডারের কোন কাজ নাই। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ তার কোন সমাধান না দিলে গ্রুপ লিডারকে জানাবেন।
*হোটেলের শেয়ারিং রুমে আমাদের হাজী ছাড়া অন্য কোন লোক রাত্রীযাপন করতে পারবে না। অন্য হাজিদের বিরক্তিকর এমন কোন কাজ করা যাবেনা যেমনঃ ব্যবহার খারাপ করা, ঝগড়া বিবাদ করা, বিনা অনুমতিতে কারো জিনিসপত্র ব্যবহার করা, ফোনে জোরে জোরে কথা বলা, বাথরুমে লম্বা সময় কাজ করা ও বিনা কারণে লাইট লাগিয়ে রাখা। বিশেষ করে রাতের খাবার শেষে যতদ্রুত সম্ভব লাইট বন্ধ করে দিতে হবে। নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অন্যদের ঘুমে সমস্যা করা যাবে না।
*সকল হাজিদরে রুম একই ফ্লোরে রাখা সম্ভব হয়না, হোটেল রুম খালি থাকা সাপেক্ষে হোটেল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ফ্লোরে রুম বুঝিয়ে দেয়, সেভাবেইে আমাদের চাবি নিতে হয়। রুম ছোট বড় থাকে কারো রুম বড় কারো রুম ছোট এটা আমাদের জানা থাকেনা। যে কোন চাবি গ্রহণ করে যারযার ভাগ্য অনুযায়ী রুমে যেতে হবে।
*হোটেল রুমে গড়ে বেড সংখ্যা ৩ থেকে সারে তিন, ৪ থেকে সারে চার ও ৫থেকে সারে পাচঁ পর্যন্ত পাওয়া যায়। তবে মানগত হোটেলগুলোর গড় বেড সংখ্যা ৩-৪ বেড এর মধ্যেই থাকে। হোটেল ভাড়া করার ক্ষেত্রে ২,৩, ৪ ও ৫ বেডের রুম মিলিয়ে নিতে হয়, ইচ্ছা করলেও সব একই বেডের রুম নেওয়া যায়না। তবে আমরা গড়ে প্রতি রুমে চার জন হাজি হিসাব করে প্যাকেজ করে থাকি। যারা দুই/তিন বেড ওয়ালা রুমে থাকবে তাদেরকে অবশ্যই চার বেডের ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।
*হোটেল বুকিং ফ্লাইটের অনেক দিন আগ থেকেই করা হয় এবং সম্পূর্ণ টাকা বাংলাদেশ থেকেই পরিশোধ করা হয়। কখনো ফ্লাইট সিডিউল পরিবর্তন হলে হোটেল রুম আগেই ছেড়ে দিতে হয় আর এর জন্য হোটেলের টাকা ফেরত পাওয়া যায় না।
যাতায়াতে গাড়ী সংক্রান্ত বিষয়
*এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে নির্ধাতির স্থানে গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করতে হবে এবং গ্রুপের ক্ষেত্রে সবাই একত্রে নির্দিষ্ট গাড়িতে উঠতে হবে। মালামাল নিজ দায়িত্বে গাড়িতে উঠাতে ও নামাতে হবে।
*৩০ জনের অধিক গ্রুপের ক্ষেত্রে ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস ভিসা কোম্পানী কর্তৃক প্রদান করে থাকে। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রেই হাজীদের ট্রান্সপোর্টের জন্য ভিসা কোম্পানীর পক্ষ থেকে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে যাতায়াতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যদি কেউ সময়মত উপস্থিত না হতে পারে, সে ক্ষেত্রে তার নিজ খরচে গন্তব্য স্থানে পৌছতে হবে।
*কোন কারণে ভিসা কোম্পানীর গাড়ি নির্ধারিত স্থানে, নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হতে না পারলে ধৈর্য্যসহকারে অপেক্ষা করতে হবে। যদি কোন কারণে গাড়ি উপস্থিত না হয় সেক্ষেত্রে ট্রাভেল এজেন্সি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
*ভিসা কোম্পানীর নির্ধারিত যিয়ারাহ্ সময় নিদিষ্ট সময়ের পূর্বেই প্রস্তুত থাকা বাধ্যতামুলক।
*যাত্রাপথের বিরতীতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবশ্যই গাড়ীতে উঠতে হবে। কেউ যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গাড়ীতে না ওঠে সে ক্ষেত্রে গাড়ি যদি তাকে সেখানে রেখেই চলে আসে তবে ঐ ব্যক্তির দায়ভার ট্রাভেল এজেন্সি নিবে না।
*প্রত্যেকটি ট্রান্সপোর্ট যথাসম্ভব উন্নতমানের ব্যবস্থাপনা করা হয়, যান্ত্রীক ত্রুটির কারনে কোন ধরনের সমস্যা হলে যেমন: রাস্তায় হঠাৎ সমস্যার, এসি নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সেটা মেনে নিতে হবে।
খাবার সংক্রান্ত আলোচনা
*আমরা সর্বদাই উন্নত মানের বাঙ্গালী খাবারের ব্যবস্থা করে থাকি। কাফেলায় বিভিন্ন রুচির মানুষ থাকায় ইচ্ছা করলেও প্রত্যেকর চাহিদা মত খাবার পরিবেশন করা সম্ভব হয় না। যদি কোন খাবার কারো পছন্দ না হয় সে আমাদেরকে জানিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে ব্যক্তিগত খরচে পছন্দমত খাবার কিনে খেতে পারবে।
*চাহিদার তুলনায় খাবার অতিরিক্ত হলে খাবার নষ্ট না করে আমাদেরকে জানিয়ে দিলে খাবার সংখ্যা বা পরিমান কমিয়ে দেওয়া যাবে।
*নিয়মিত ৩ বেলা খাবার দেওয়া হয়, তবে বুকিং করার সময় আমাদের সাথে কনফার্ম করে নিবেন। কেননা কোন কোন কাফেলায় সকালে নাস্তার ব্যবস্থা থাকে না।
*সৌদিতে যাওয়া এবং আসার সময় গাড়ীতে বা এয়াপোর্টের ভিতরে ট্রাভেলস কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের খাবারের ব্যবস্থা করবে না। বাসে চলার ক্ষেত্রে এবং ফ্লাইট সিডিউল দেরি হলে অথবা এয়ারপোর্টে খাবারের প্রয়োজন হলে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবস্থা করতে হবে।